. ট্রেডিং কি?
ট্রেডিংয়ের মৌলিক ধারণাগুলো নিচে আলোচনা করা হলো:
১. ট্রেডিং কি?
- ট্রেডিং হলো আর্থিক বাজারে বিভিন্ন আর্থিক উপকরণ যেমন স্টক, বন্ড, মুদ্রা (ফরেক্স), পণ্য ইত্যাদি কেনা-বেচা করা।
- এর মূল উদ্দেশ্য হলো কম দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করে বা বেশি দামে বিক্রি করে কম দামে কিনে মুনাফা অর্জন করা।
২. ট্রেডিংয়ের প্রকারভেদ:
- স্টক ট্রেডিং: শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার কেনা-বেচা করা।
- ফরেক্স ট্রেডিং: বিভিন্ন দেশের মুদ্রার মধ্যে বিনিময় করা।
- পণ্য ট্রেডিং: স্বর্ণ, তেল, গ্যাস, কৃষি পণ্য ইত্যাদি কেনা-বেচা করা।
- ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং: বিটকয়েন, ইথেরিয়াম ইত্যাদি ডিজিটাল মুদ্রা কেনা-বেচা করা।
৩. ট্রেডিংয়ের মৌলিক বিষয়:
- বাজার বিশ্লেষণ: বাজারের গতিবিধি ও প্রবণতা বোঝার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা। যেমন- টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস, ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস।
- ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা: ট্রেডিংয়ে ঝুঁকি থাকায়, ঝুঁকি কমানোর জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা।
- ট্রেডিং পরিকল্পনা: ট্রেডিংয়ের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করা। যেমন- কখন কিনবেন, কখন বিক্রি করবেন, কতটুকু ঝুঁকি নেবেন।
- মানসিক শৃঙ্খলা: আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা এবং যুক্তি দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
৪. ট্রেডিংয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ শব্দ:
- বুল মার্কেট: যখন বাজারের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকে।
- বেয়ার মার্কেট: যখন বাজারের দাম নিম্নমুখী থাকে।
- লিভারেজ: কম টাকা দিয়ে বেশি পরিমাণ ট্রেড করার সুযোগ।
- স্টপ লস: একটি নির্দিষ্ট দামে পৌঁছালে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেড বন্ধ হয়ে যাওয়া।
- টেক প্রফিট: একটি নির্দিষ্ট দামে পৌঁছালে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুনাফা নিশ্চিত করা।
৫. ট্রেডিং শেখার উপায়:
- বই ও অনলাইন কোর্স: ট্রেডিং সম্পর্কে বিভিন্ন বই ও অনলাইন কোর্স পাওয়া যায়।
- ডেমো অ্যাকাউন্ট: ভার্চুয়াল টাকা দিয়ে ট্রেডিং অনুশীলন করা যায়।
- অভিজ্ঞ ট্রেডারদের পরামর্শ: অভিজ্ঞ ট্রেডারদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
৬. ট্রেডিং এর ঝুঁকি।
- ট্রেডিং একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। এখানে লাভের পাশাপাশি লোকসানের সম্ভাবনাও থাকে।
- তাই, ট্রেডিং শুরু করার আগে ভালোভাবে জেনে-বুঝে এবং ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা অনুযায়ী ট্রেড করা উচিত।
মনে রাখবেন, ট্রেডিং শেখা একটি সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। তাই, ধৈর্য ধরে শিখতে থাকুন এবং অনুশীলন করতে থাকুন।